ইসরাইলকে জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি ইরানের
- By Jamini Roy --
- 25 November, 2024
ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার জবাব দিতে সামরিক প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তীব্র হয়ে উঠেছে। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা আলি লারিজানি সম্প্রতি তাসনিম নিউজ এজেন্সিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন। লারিজানির বক্তব্য অনুযায়ী, ইসরাইলের সাম্প্রতিক আক্রমণের পাল্টা ব্যবস্থা নিতে তেহরান প্রয়োজনীয় কৌশলগত পরিকল্পনা করছে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান গাজা এবং লেবানন সংঘাতের প্রেক্ষাপটে ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এপ্রিল মাস থেকে দুই দেশের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ধারাবাহিকতা চলছে।
১ অক্টোবর, ইরান ইসরাইলের ওপর একটি বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ওই হামলায় ১৮১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ইরান দাবি করে, তাদের এই হামলা ছিল গাজা এবং লেবাননের ঘটনায় ইসরাইলের ভূমিকার বিরুদ্ধে একটি প্রতিশোধ।
১ অক্টোবরের ইরানি হামলার জবাবে ২৬ অক্টোবর ইসরাইল ইরানে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। ইসরাইলি সামরিক বাহিনী শতাধিক যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে তেহরানের সামরিক স্থাপনা এবং দেশের বিভিন্ন প্রদেশে আঘাত হানে।
এই হামলায় ইরানের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস হয়। ইসরাইলের এই পদক্ষেপের পরই তেহরান আবারও প্রতিশোধের প্রস্তুতি শুরু করেছে।
আলি লারিজানি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, "এই পরিস্থিতিতে আমাদের সৈন্যদের সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা বিভিন্ন কৌশল নিয়ে পরিকল্পনা করছেন।"
তিনি আরও বলেন, "এই বিষয়টি ইরানের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। তাই প্রতিটি পদক্ষেপ সতর্কতার সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে।"
ইরান এবং ইসরাইলের এই সংঘাত শুধুমাত্র দুই দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। গাজা ও লেবাননে চলমান সংঘাতও এই উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তুলছে। অন্যদিকে, হিজবুল্লাহর মতো গোষ্ঠীগুলোর ভূমিকা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সংঘাত আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি তৈরি করেছে। ইরানের সামরিক প্রস্তুতি এবং ইসরাইলের পাল্টা পদক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি নিরসনে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে মধ্যপ্রাচ্যের এই দীর্ঘস্থায়ী সংকট সমাধানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনও চোখে পড়ছে না।